Thursday, December 12, 2013

যৌন চাহিদা পূরণের আন্দোলনে নেমেছেন সৌদি আরবের ছাত্রীরা

এফএনএস ; এবার নিজেদের যৌন চাহিদা পূরণের আন্দোলনে নেমেছেন সৌদি আরবের ছাত্রীরা। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিরকুমারীত্ব রোধে প্রত্যেক পুরুষকে ৪ স্ত্রী রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। দেশটির দাহরান অঞ্চলের একদল কলেজ ছাত্রী টুইটার প্রচারণায় এ আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এরই মধ্যে তারা টুইটাইরে প্রচার অভিযান জোরদার করেছে।তারা ইসলাম ধর্মের এ সংক্রান্ত বিধানের আলোকে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে ধনী ও শারীরিক দিক থেকে সক্ষম পুরুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

গণমাধ্যম জানায়, সৌদি আরবে মেয়েদের চিরকুমারী থাকার সমস্যা দিনকে দিন বাড়ছে। দেশটিতে এ ধরণের নারীর সংখ্যা গত ২০১২ সালেই ১০ লাখে উন্নীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই চিরকুমারীত্ব রোধে এ প্রচার অভিযানের প্রশংসা করলেও সৌদি আরবের বিবাহিত মহিলারা এর বিরোধিতা করেছেন।
অন্যদিকে সৌদি পুরুষরা বলছেন, তারা এক স্ত্রীকে রেখেই দ্বিতীয় বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন। কারন তাতে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন সৌদি পুরুষ বলেছেন, কেউ যখন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন যে তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী উভয়ের সঙ্গেই ন্যায়বিচারপূর্ণ আচরণ করতে পারবেন কেবল তখনই তিনি এ ধরনের বিয়ের কথা ভাবতে পারেন।

সামিয়া আল দানদাশি নামের এক সৌদি নারী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, প্রত্যেক সৌদি পুরুষ যদি চার জন স্ত্রী রাখেন এবং তার প্রত্যেক স্ত্রী যদি গড়ে আট সন্তান জন্ম দেন তাহলে নারীদের চিরকুমারিত্ব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি এ দেশটির জনসংখ্যাও বেড়ে যাবে।প্রসঙ্গত অর্থনৈতিক সংকট ও বিয়ের জন্য পুরুষদেরকে বিপুল অর্থসম্পদ যৌতুক হিসেবে দেয়ার ব্যয়বহুল প্রথা সৌদি মেয়েদের অবিবাহিত থাকার সবচেয়ে দুটি বড় কারন। দেশটির অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জরিপে দেখা গেছে, ২০১১ সালে সেখানে ৩০ বছর বয়সী অবিবাহিত নারীর সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৪১৮ জন।
- See more at:

TAG: FNS, Fairnews24, Victoria's Secret Fashion Show,  Lakers,Uruguay,Vs Fashion Show, Gisele Bundchen, Demi Lovato, Kelly Clarkson, Mega Millions, hot, sexual relations, sexy, sex, hot, porn star, Saudi arabia women, women want to need sex, Dhaka, Bangladesh,

ছেলে ‘গে’, চোর তো নয়

এফএনএস ডেস্ক: সমকামী বোনকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে বাবা-মায়ের সম্মতিতেই তাঁর ঘরে নিজের এক বন্ধুকে ঢুকিয়ে দিতেন দাদা। এটা কলকাতারই ঘটনা। সেই বন্ধু দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন বন্ধুর বোনকে। এই প্রক্রিয়াকেই বোনের সমকামী মনোভাব শেষ করার উপযুক্ত পদ্ধতি বলে মনে করেছিলেন দাদাটি। একটা সময়ে আর সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের অফিসে যায় সেই মেয়ে। অনেক ঝড়ঝাপ্টার পর দক্ষিণ কলকাতার এক পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে নিজের ‘সঙ্গী’-কে নিয়ে। ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের পরে সেই মেয়ে ভেবেছিল, হয়তো এ বার নিজের যৌন অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার হওয়া যাবে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আবার সেই অধিকারের জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
এ দিন রায় ঘোষণার পরেই কলকাতার জায়গায়-জায়গায় বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করে সমকামীদের বিভিন্ন সংগঠন। মূল জমায়েত হয়েছিল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে। ব্যানারে, স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজপথ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের সারমর্ম একটাই ‘এই রায়ে শুধু সমকামীদের অধিকার খর্ব হল না। এটি গণতন্ত্রের উপর কুঠারাঘাত।” জমায়েতে ছিলেন মধ্য তিরিশের যুবক অনীশ রায়চৌধুরী। বললেন, “সকাল থেকে আমার ৭৯ বছরের মা বারংবার ফোনে বলছেন, ‘তোদের মুক্তি আর দেখে যেতে পারলাম না।’ মা আমার সব চেয়ে বড় শক্তি।” রূপান্তরকামী রঞ্জিতা সিংহের বক্তব্য, “এত দিন ৩৭৭ ধারা সম্পর্কে লোকের ধারণা কম ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আজ এত ফলাও করে রায় ঘোষণা করায় সমকামী ও রূপান্তকামীরা সাধারণের চোখে আরও বেশি ‘অপরাধী’ বলে প্রতিভাত হবেন এবং তাঁদের উপরে অত্যাচার বাড়বে।”
২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তার রায় জানানোর পরেই সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় একাধিক সংগঠন। তাদের যুক্তি ছিল, সমকামিতা স্বীকৃতি পেলে দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ধাক্কা খাবে। এদের আবেদনের বিরুদ্ধে আবার সুপ্রিম কোর্টে সমকামীদের পক্ষে পাল্টা আবেদন করেন ১৯ জন বাবা-মা, যাঁদের প্রত্যেকের ছেলে কিংবা মেয়ে সমকামী। এঁদের মধ্যে কলকাতার চার জন ছিলেন। অনীশের মা এবং বাবা, তীর্থঙ্কর গুহঠাকুরতার মা, জগদীশ জানা-র মা এবং দেবজ্যোতি ঘোষের মা। শীর্ষ আদালতের এ দিনের রায়ে তাঁরাও স্তম্ভিত। তীর্থঙ্করের মা বীণা গুহঠাকুরতার বক্তব্য, “হ্যাঁ, আমার ছেলে ‘গে’। চোর-ডাকাত তো নয়। তাঁকে নিজের ইচ্ছেমতো জীবন কাটানোর অধিকার দিতে হবে।”
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা সমকামী আন্দোলনের কর্মী কৌশিক গুপ্ত অন্য একটি বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি প্রজননের প্রয়োজন ছাড়া কোনও যৌনসম্পর্ক হয়, তা হলে সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে সেটাও অপরাধ বলে গণ্য হবে।”
সমকামী অধিকার আন্দোলনের জাতীয় স্তরের কর্মী, কলকাতার পবন ধর অভিযোগ করেন, এ দিনের রায়ের পরেই দেশের বিভিন্ন শহরে বিচ্ছিন্ন ভাবে পুলিশের অত্যাচার শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সমকামীদের প্রতিবাদ মিছিল আটকে দিয়েছে। পবন বলেন, “আমার বাবার মৃত্যুর দিন যতটা শোক পেয়েছিলাম, এ দিনের শূন্যতাবোধ অনেকটা তেমনই। আমরা যে অপরাধী নই, রোগী নই, তা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট সেই চেষ্টাটাকেই নস্যাৎ করে দিল।” তবে তাঁরা হাল ছাড়বেন না বলে জানান পবন। সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ‘স্যাফো ফর ইক্যুয়ালিটি’-র মালবিকা একরাশ ক্ষোভ নিয়ে বলেন, “দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পারস্পরিক ইচ্ছায় একসঙ্গে থাকবেন বা যৌন সম্পর্ক করবেন। তা নিয়ে রাষ্ট্রের এত আপত্তি কেন আজও বুঝলাম না।”
রূপান্তরকামী মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি অন্য ভাবে দেখছেন। বললেন, “৩৭৭ ধারায় নারীর সঙ্গে নারীর সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলা নেই। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে আছে। তা ছাড়া, ওই আইনের তো অস্তিত্বই চোখে পড়ে না। তা হলে এত হইচই কীসের?”
সমকামীদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ ‘স্যাফো ফর ইক্যুয়ালিটি’, ‘প্রত্যয়’, ‘সাথী’-সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিরোধী। বুধবার শীর্ষ আদালতের এই রায় ঘোষণার পরে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে জমায়েত হয়ে তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
- See more at:

TAG: rape, shamokami, gey, gay, sex, sexual relation, India, Kalkata, Bangladesh, Dhaka, Victoria's Secret Fashion Show,  Lakers,Uruguay,Vs Fashion Show, Gisele Bundchen, Demi Lovato, Kelly Clarkson, Mega Millions,fairnews24,Hotter,Lesbian Sex,

আবারও জিরো ফিগারে ফিরেছেন শিল্পা

এফএনএস বিনোদন : ছেলে সন্তান জন্মের ১৮ মাস পর আবার নিজের ঐতিহ্যপূর্ণ ফিগারে ফিরে এসেছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠী। তাকে রিয়েলিটি শো ‘নাচ বলিয়ে ৫’ এ অংশ নিতে দেখা গেছে।

শাড়ির আচল ছেড়ে রাখা শিল্পাকে খুব মনোমুগ্ধকর লেগেছে দেখতে।

তিনি এখনও দেহের চর্বি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। কিন্তু তাকে বেশ শীর্ণ দেখাচ্ছিল। টেরেন্স লুইস এবং সাজিদ খানের পাশাপাশি শিল্পা এখন ‘নাচ বলিয়ে ৫’ এর বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র :ইন্টারনেট
- See more at:

TAG: Kelly Clarkson, Mega Millions, Shipa sheti, shilpa shety, Bollywood,actress, hot actress, FNS, Bangla khabor, fairnews24,

মেয়েদের যৌনাঙ্গে রডও ঢোকাতে পারে: তসলিমা নাসরিন

এফএনএস : ভারত এখন তরুণ তেজপাল নিয়ে ব্যস্ত। তরুণ তেজপাল তেহেলকার সম্পাদক, নামি-দামি বুদ্ধিজীবী। তার তেহেলকা হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে খুব সরব। যেহেতু আমি মৌলবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল সংগ্রাম করছি, তেহেলকার এই ভূমিকাকে শুরু থেকেই স্বাগত জানিয়েছি। মাঝে মাঝে তেহেলকায় খুঁজেছি মুসলিম মৌলবাদের বিরুদ্ধে একই রকম বলিষ্ঠ লেখা, খুঁজেছি ক্রিশ্চান মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখা।

হয়তো কখনো কখনো কিছু লেখা হয়, তবে খুব বলিষ্ঠ নয়। বেশির ভাগ সময় মুসলিমদের পক্ষ নিতে গিয়ে ইসলামের গুণগানও গেয়ে ফেলে। এটিই দুর্ভাগ্যবশত ভারতীয় সেকুলার বা বামপন্থি নরমপন্থিদের সমস্যা। তারা সব ধর্মের সব মৌলবাদের বিরুদ্ধে ঠিক একইভাবে দাঁড়ান না। কোনো এক মৌলবাদী গোষ্ঠীর অন্যায় দেখলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন, আবার আরেক মৌলবাদী গোষ্ঠীর অন্যায় দেখেও দেখছেন না ভাব দেখান।

তেহেলকা এদিকে গোয়ায় থিংক ফেস্ট করেছে। জমকালো অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের নামি সব লোক, এমনকি হলিউডের বিখ্যাত সব অভিনেতাও এসেছেন আমন্ত্রিত হয়ে। আমার এক ফরাসি বন্ধুও দেখলাম থিংক ফেস্টে আমন্ত্রিত। অবশ্য খুব অবাক হয়েছিলাম তালেবান নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেখে।

আমরা কি ইতোমধ্যে জানি না তালেবানরা কি চায়, তাদের মত এবং মতলব? তালেবান নেতাকে তার মতপ্রকাশের জন্য কি ভারতের সবচেয়ে প্রগতিশীল মঞ্চটি দেওয়া দরকার ছিল? গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে, মানবতার বিরুদ্ধে, সারা পৃথিবীকে দারুল ইসলাম বা ইসলামের জগৎ বানানোর জেহাদি শপথ নেওয়া তালেবান নেতার বক্তব্য প্রচার খুব কি জরুরি ছিল তেহেলকার?

সভ্য, শিক্ষিত, হিন্দুত্ববিরোধী বুদ্ধিজীবীদের আদর পেয়ে তালেবান নেতা নিশ্চয়ই মহাখুশি। থিংক ফেস্টে তালেবান নেতা অতিথি হিসেবে আসার পর মনে হলো, সমাজের সবরকম বিশ্বাসের লোককে মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়ার শুদ্ধ বৃহত্তর গণতন্ত্রের চর্চা করছে তেহেলকা।কিন্তু মনে খচখচ করা পুরনো প্রশ্নটি আবার করলাম, তাহলে কি তেহেলকা সেই দিকভ্রান্ত বাম বুদ্ধিজীবীদের মতো, যারা হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু মুসলিম মৌলবাদকে নানা ছলছুতোয় সমর্থন করেন?

ইউরোপীয় সংসদ থেকে মানবাধিকারের ওপর সপ্তাহ খানেকের একটা কনফারেন্স শেষ করে দিল্লি ফিরেই শুনি তেহেলকার সম্পাদক তরুণ তেজপাল তেহেলকারই এক তরুণী সাংবাদিককে যৌন নিগ্রহ করেছে, খবরটি শুনে হতবাক বনেছিলাম। এই দিল্লিতে খুব বেশি দিন হয়নি একটি ঘৃণ্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিরাট বিক্ষোভ হয়েছে।

সারা পৃথিবীর মানুষ সমর্থন জানিয়েছে ভারতীয়দের বিক্ষোভকে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে তেহেলকার ভূমিকাও ছিল বড়। আর এরই সম্পাদক কিনা সহকর্মী, তাও আবার কন্যার বান্ধবী, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তরুণ তেজপাল অসম্ভব সব কাজ করেছেন সাংবাদিক হিসেবে।আবার বইও লিখেছেন, পুরস্কারও পেয়েছেন। এত বড় মানুষ হয়েও মেয়েদের যৌনবস্তু হিসেবে দেখছেন। মুখে বলছেন একরকম, লিখছেন একরকম, আর কাজ করছেন আরেক রকম! এর নামই তো হিপোক্রেসি! যারা অন্য লোকের হিপোক্রেসির নিন্দা করে, তারা নিজেরাই আজ হিপোক্রেট।

তরুণ তেজপালের সঙ্গে আমার আলাপ নেই। ২০০৭-০৮ সালে আমি যখন ভারত সরকার দ্বারা গৃহবন্দী, আমার যখন সবচেয়ে বড় দুঃসময়, আমাকে গৃহবন্দী করার বিরুদ্ধে লেখক অরুন্ধতী রায়ের উদ্যোগে বুদ্ধিজীবীদের যে প্রতিবাদ সভা হয়েছিল দিল্লির প্রেসক্লাবে, সেই সভায় যোগ দেওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একজন ছিলেন তরুণ তেজপাল।কিন্তু তাই বলে তরুণ তেজপালের ধর্ষণকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখব, তা কখনোই নয়। অতটা স্বার্থান্ধ আমি কোনো দিনই নই। তবে এ কথা ঠিক যে, সেকুলার তেজপালকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু যৌনহেনস্থাকারী তেজপালকে, সত্যি বলতে কী ঘৃণা করি।

তরুণী সাংবাদিকটির তরুণ তেজপালের আর তত্ত্বাবধায়ক সম্পাদক সোমা চৌধুরীর যে ই-মেইলগুলো প্রচার হয়েছে, তা থেকেই ঘটনাগুলো সব স্পষ্ট এখন। ওগুলো পড়লেই দোষ কার, নির্দোষ কে, সব আমরা খুব সহজেই অনুমান করতে পারি। তরুণ তেজপাল নিজেই বলেছেন, তিনি অন্যায় করেছেন। ক্ষমা চেয়েছেন।এমনকি ছয় মাসের ছুটি-শাস্তিও নিয়েছেন নিজে। শেষ পর্যন্ত মিডিয়ায় খবরটা এলে থানা-পুলিশ হলো। তা না হলে এভাবেই হয়তো তেহেলকার তত্ত্বাবধায়ক সোমা চৌধুরী আর সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান তরুণ তেজপাল কিছু সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পুরো ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে দিতেন।

এরকম নিশ্চয়ই আরও অনেক কোম্পানিতে ঘটে। মেয়েরা ধর্ষণের বিনিময়ে চাকরি বাঁচায়। প্রতিবাদ করলে চাকরি চলে যায়। নয়তো চাকরি ছেড়ে দিয়ে পথে বসতে হয়। কাস্টিং কাউচের সমস্যা সারা ভারতে ভীষণ। যাদের প্রতিবাদ করার কথা এসবের বিরুদ্ধে, তারাই যদি একই চরিত্রের হয়, ধর্ষক হয়, তবে কারা আর সমাজ বদলাবে!

তরুণ তেজপাল তার কন্যার বান্ধবীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, এটিই সবচেয়ে সহজ পন্থা যদি তার চাকরিটি সে বাঁচাতে চায়। কী ভয়ঙ্কর হুমকি! মৌলবাদীদের চরিত্র নষ্ট হলে, রাজনীতিকদের চরিত্র নষ্ট হলে সমাজ নষ্ট হয় না, কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের চরিত্র নষ্ট হলে সমাজ নষ্ট হয়।

বুদ্ধিজীবীরাই তো অন্যায়ের, অসত্যের, অত্যাচারের, অবিচারের প্রতিবাদ করে সমাজকে শুদ্ধ করে, বাঁচায়, প্রগতির পথে নিয়ে যায়। কিন্তু নিজেরাই অন্যায় করলে কোন অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করবে?

তরুণ তেজপাল মেয়েদের যৌনবস্তু হিসেবে দেখেন। বুদ্ধিজীবী-মুখোশের আড়ালে তিনি তার ধর্ষকের মুখটা আড়াল করে রেখেছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি নারীবাদী মুখোশের আড়ালে এতকালের নারীবিরোধী মুখটা যখন বেরিয়ে এসেছে। অন্য ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তারা ভীষণ সরব, কিন্তু তেজপালের ধর্ষণের ঘটনায় খুব কায়দা করে ইনিয়ে-বিনিয়ে তাকে সমর্থন করেছেন। নিজের চোখ-কানকে বিশ্বাস করা যায় না।

সোমা চৌধুরী নিজেকে বারবারই নারীবাদী হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু ধর্ষিতা সাংবাদিকটির পক্ষে তিনি কিন্তু মূলত কিছুই করেননি, বরং ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কেন ও দ্বিতীয়বার লিফটে চড়ল, যেন লিফটে চড়েছে বলেই ও দ্বিতীয়বার ধর্ষণের মুখে পড়েছে, যেন লিফটে চড়েছে, কারণ আগের দিনের যৌনতায় ওর সায় ছিল।

শুধু সোমা চৌধুরী নন, তার মতো অনেকেই গলার স্বর পাল্টে ফেলেছেন, ধর্ষণ আর ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তারা আগে যেমন গর্জে উঠতেন, তেমন আর উঠছেন না। অশিক্ষিত আর গরিবরা ধর্ষণ করলে সেই ধর্ষণকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলা হয় আর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা ধর্ষণ করলে তাকে বলা হয়, ‘মিসকনডাক্ট’।

ভারতবর্ষ বিভক্ত জাত-ধর্মে ততটা নয়, যতটা শ্রেণীতে। আমার শ্রেণীর লোক, সুতরাং তাকে আমি সমর্থন করব, সে যত অন্যায়ই করুক না কেন। অনেকের মধ্যে এরকম শ্রেণী সমর্থন দেখেছি। কোনো একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলে বিভিন্ন রাজনীতির লোকরা অন্যায়ের পক্ষে অথবা বিপক্ষে সটান দাঁড়িয়ে যান। মিথ্যের প্রয়োজন হলে অবলীলায় মিথ্যে বলেন। সৎ, নিরপেক্ষ বলতে প্রায় কিছুই নেই।

আসারাম নামের এক ধর্মগুরু ধর্ষণ করছে অল্প বয়সী মেয়েদের, খবরটা প্রচার হওয়ার পর আসারামের ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেখি, একটি রাজনৈতিক দল বলছে, আসারাম কস্মিনকালেও ধর্ষণ করেনি, আবার আরেকটি দল বলছে, আলবৎ করেছে।

তেজপালের ধর্ষণের বেলায়, আসারামের পাশে দাঁড়ানো দল বলছে, তেজপাল দোষী, আবার যে দলটি আসারামকে দোষ দিয়েছে, সেই দল বলছে, তেজপাল দোষী নয়, দোষী ধর্ষিতা মেয়েটিই। আর আমি যদি আসারাম আর তেজপালের দুজনের অন্যায়ের বিরুদ্ধেই একই রকম তীব্রকণ্ঠে প্রতিবাদ করি, আমি খুব একা হয়ে পড়ি।

আমার পাশে শেষ পর্যন্ত কেউ থাকে না। সবাই আমাকে ক্ষণকালের জন্য বন্ধু মনে করলেও শেষে গিয়ে আমার নাম শত্রুর খাতায় লেখে। এই সমাজে কোনো দলের হয়ে কথা না বললে একা হয়ে যেতে হয়। একা হয়ে যাওয়ার আমার অভ্যেস আছে। চিরকালই আমি একা।

যখন থেকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে একা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছি, তখন থেকেই। আমার আর কিসের ভয়! তেজপালের বিচার যদি সঠিক না হয়, তবে যেসব কোম্পানির উঁচু পদে বসে থাকা শত শত পুরুষ ঊধ্র্বতন বা চাকরিদাতা হওয়ার সুবাদে অবাধে ধর্ষণ করে যাচ্ছে তরুণী সহকর্মীদের,

তা মহাউৎসাহে, তা মহাআনন্দে, মহাবিজয়ের সঙ্গে করে তো যাবেই, এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। কাস্টিং কাউচ জমকালো হবে আরও। তরুণ তেজপাল নিশ্চয়ই স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে, ভারতবর্ষে তার পাশে দাঁড়ানোর লোকের কোনো অভাব নেই।

যৌন অপরাধ করার পরও তার সমর্থক আর অনুরাগীর সংখ্যা কিছুমাত্র কমেনি। পুরুষ বলেই অবশ্য কমেনি। ধর্ষণের সঙ্গে পৌরুষের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। ধর্ষণ আইনের চোখে হয়তো অপরাধ, নারীবিরোধী সমাজের চোখে এখনো এটি অপরাধ নয়, এটি এখনো পুরুষের অধিকার।

সে কারণেই তেজপালের বিরুদ্ধে সমাজের বড় নেতারা, বড় রাজনৈতিক দল, নারীবাদী বা মানবাধিকার গোষ্ঠী একযোগে প্রতিবাদী হচ্ছে না। তেজপাল বড় সাংবাদিক, বড় বুদ্ধিজীবীথ এসব বলে বলে তার যৌন নির্যাতনের অপরাধকে একটু ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য যেন একরকম আহ্বান জানানো হচ্ছে।

কিন্তু কথা হলো, যে লোকেরা বিনা অনুমতিতে কোনো মেয়ের যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢোকাতে পারে, তারা কিন্তু কোনো এক দিন জোর খাটিয়ে মেয়েদের যৌনাঙ্গে লোহার রডও ঢোকাতে পারে। কাকে বিশ্বাস করবে মেয়েরা?

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ধর্ষিতাকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা এখনো যায়নি। এখনো ধর্ষিতা মেয়েটিকেই প্রশ্ন করা হচ্ছে, লিফটে একবার তেজপাল দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার পরও কেন ও তেজপালের সঙ্গেই দ্বিতীয়বার লিফটে চড়ল! এর কারণ তো খুব সহজ, মেয়েটা তার চাকরি বাঁচাতে চেয়েছে।

ধর্ষিতা হয়ে নয়, ধর্ষিতা না হয়ে চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ধর্ষণের জন্য কোনো ধর্ষকের লিফটের দরকার হয় না। ধর্ষকরা সহজে ধরা পড়বে নাথ এমন যে কোনো জায়গায় ধর্ষণ করে। যদি দ্বিতীয়বার মেয়েটি না চড়ত লিফটে, তাহলে কি তাকে দোষ দেওয়া হতো না?

ঠিকই হতো, যারা তাকে আজ দোষ দিচ্ছে লিফটে চড়ার জন্য, তারাই বলত কী ব্যাপার তেহেলকার সম্পাদক তোমাকে যৌন হেনস্থা করার পরও তুমি তেহেলকায় দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছ, নিশ্চয়ই তোমার সায় ছিল ওই যৌন হেনস্থায়।

তেজপাল বেশ স্পষ্ট করেই তার ই-মেইলে লিখেছেন, মেয়েটির অসম্মতিতেই মেয়েটির যৌনাঙ্গে তিনি আঙ্গুল ঢুকিয়েছেন। ই-মেইল প্রচারিত হওয়ার পরও মেয়েটিকে দোষী বানানো হচ্ছে। সমাজ, সত্যি বলতে কী, ভীষণরকম নারীবিদ্বেষী। এই সমাজে সব শ্রেণীর পুরুষই সব শ্রেণীর মেয়ের যৌনাঙ্গে যা ইচ্ছে তাই ঢুকিয়ে বিকৃত আনন্দ পায়, মেয়েদের এতে সায় আছে কী নেই, তা অনেকেই মনে করে না, দেখা সবার আগে প্রয়োজন।

দিল্লি বাসের অসভ্য অশিক্ষিত সেই ধর্ষকদের সঙ্গে দিল্লির সভ্য-শিক্ষিত তরুণ তেজপালের পার্থক্য খুব বেশি নেই। ওদের মতো তরুণ তেজপালও মেয়েদের যৌনবস্তু হিসেবে মনে করেন। ঘৃণা করতে হলে দিল্লি বাসের ধর্ষকদের চেয়ে তরুণ তেজপালকেই বেশি করা উচিত। কারণ তিনি জেনে-বুঝে অপরাধটি করেছেন।

দিল্লি বাসের ধর্ষকরা নারীবাদের ওপর কোনো বই পড়েনি। নারীরা যে মানুষ, নারীরা যে যৌনবস্তু নয়, এটি তাদের কেউ শেখায়নি। কিন্তু তরুণ তেজপাল সব জেনেও নারী-পুরুষের বৈষম্য যে কোনো সভ্য সমাজে থাকা উচিত নয়, পুরুষের যে অধিকার নেই, নারীর বিনা অনুমতিতে নারীকে স্পর্শ করার, তা বুঝেও জোর করে এক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে চেয়েছেন। তরুণ তেজপাল নিশ্চিতই এক জ্ঞানপাপী।

এখনকার অফিস-আদালতে তথাকথিত সভ্য-শিক্ষিত ভদ্রলোকরা মেয়ে-সহকর্মীদের যৌন হেনস্থা করে চলেছে, এ সবাই জানে, এ থেকে মেয়েদের বাঁচানোর জন্যও তেজপালের শাস্তি জরুরি। তেজপালের মতো অগুনতি যৌন হেনস্থাকারীর টনক নড়বে। বুঝবে, এত নিশ্চিন্তে হেনস্থা চালিয়ে যাওয়া যাবে না, ধরা পড়লে সর্বনাশ।

অবশ্য আমরা সবাই জানি যে শাস্তি বা মৃত্যুদণ্ড দিয়ে কখনো কোনো অপরাধকে কমানো যায়নি সমাজে। আসলে তরুণ তেজপাল যে চোখে মেয়েদের যৌনবস্তু হিসেবে দেখেন, পুরুষের সেই দেখার চোখটা যতদিন পাকাপাকিভাবে বন্ধ না হয় বা অন্ধ না হয়, ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা ইত্যাদি কমবে না।

আমার আত্দজীবনীতে লিখেছিলাম, বাংলাদেশের বয়স্ক এক নামি লেখক আমাকে ছলে-কৌশলে দূরের এক শহরে নিয়ে গিয়ে এক ঘরে ঘুমোবার ব্যবস্থা করেছিলেন। লেখকটি আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় সারা রাত আমি ঘুমোতে পারিনি।

এই ঘটনা লেখার পর লোকে ওই লেখককে দোষ না দিয়ে আমাকে দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের এক বড় লেখকের যৌন হেনস্থা করার খবর যেদিন বলি, ওখানেও একই অবস্থা হয়েছিল। লোকে যৌন হেনস্থাকারী লেখককে দোষ না দিয়ে আমাকে দোষ দিয়েছিল।

ওদের ছি ছি না করে আমাকে ছি ছি করেছিল। যেন ওরা কেউ নন, অন্যায়টা বা অপরাধটা আমি করেছি। জানি সাধারণ লোকেরা বড় লেখক-বুদ্ধিজীবীদের দেবতা বলে মনে করে। তাদের পক্ষে যে কোনো দুঃসময়ে দাঁড়ায়। আমি নিজে কিন্তু বানের জলে ভেসে আসা মেয়ে নই, বা এঙ্-ওয়াই-জেড নই। দেশ-বিদেশের অনেক পুরস্কার পাওয়া জনপ্রিয় লেখক, কিন্তু যত বড় লেখকই আমি হই না কেন, আমি মেয়ে, আমি মেয়ে বলেই কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বেশির ভাগ লোকই বিশ্বাস করে, যৌন হেনস্থা করার অধিকার পুরুষের আছে, এবং পুরুষের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করার অধিকার কোনো মেয়ের নেই, বিশেষ করে সে পুরুষ যদি নামি-দামি কোনো পুরুষ হয়। সমাজটা আসলে শুধু পুরুষের নয়, সমাজটা নারীবিদ্বেষী, নারীবিরোধী পুরুষের।
- See more at:

TAG: Taslima Nasreen, Taslima Nasrin, hot writer, hot, sex, Bangladeshi hot, FNS, Bangladesh, Bangla news, fairnews, google search, hot bangladeshi

সে কি আপনার প্রেমে পড়েছে? জেনে নিতে পারেন এই সহজ কুইজের মাধ্যমে!

 এফএনএস ডেস্ক : জীবন চলার পথে যে সম্পর্কগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি, তার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক একটি। সুখদুঃখ মিশ্রিত এই জীবনে পরিবারের পাশাপাশি বন্ধুত্বের সম্পর্ক একটি আশ্রয়ের ঠিকানা। অনেকে বলেন বন্ধুর কোন লিঙ্গ হয় না। বন্ধু বন্ধুই। কথাটি কি পুরোপুরি সত্যি? অনেক ক্ষেত্রেই একজন ভালো জীবনসঙ্গীর মাঝে ভালো বন্ধু খুঁজে পাওয়া না গেলেও, একজন ভালো বন্ধুর মাঝে একজন ভালো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায়। বন্ধুত্ব বজায় রেখে একজন আরেকজনকে জেনে নিয়ে অনেকেই নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে খুঁজে বেড়ান তার বন্ধুর মত কাউকে। একই সাথে আড্ডা, কথা বলা, ঘোরাফেরার মাধ্যমে দুজন ভালো বন্ধুর ভেতরেও গড়ে উঠতে পারে ভালোবাসার সম্পর্ক। এই ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক গভীর হয়। কারণ এই সম্পর্কে দুই ধরনের বন্ধন কাজ করে, প্রথমত বন্ধুত্বের বন্ধন ও দ্বিতীয়ত ভালোবাসার বন্ধন।

কিন্তু, এই ধরনের সম্পর্ক গঠনের শুরুতে অনেক বড় একটি ঝুঁকি রয়েছে। আর তা হল আসলেই আপনার বন্ধুটি আপনাকে ভালোবাসে কী না, তা না জেনে ভালোবাসার প্রকাশ করা। যদি আপনার বন্ধুটি আপনাকে শুধুমাত্র বন্ধু হিসেবেই নিয়ে থাকেন তবে একতরফা ভালোবাসার প্রকাশ আপনাদের মধ্যকার সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্কটি ভেঙে দিতে পারে। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনার বন্ধুটি আপনাকে ভালোবাসে নাকি সে শুধুই আপনার বন্ধু? এই কুইজটির মাধ্যমে হয়ত বুঝতে পারবেন আপনার বন্ধুটির মনোভাব।

আপনার বন্ধুটি আপনাকে দেখলে কি করেন?
ক) যাই করতে থাকুক না কেন কাছে এসে কথা বলেন।
খ) একটি হাসি উপহার দিয়ে নিজের কাজে মগ্ন হন।
গ) উল্লেখযোগ্য কিছুই করেন না।
ঘ) কখনো খুব আন্তরিক্তা দেখান, কখনো আবার অবহেলাও করেন।

[প্রেমে] ফেসবুক বা অন্যান্য যোগাযোগের সাইটে আপনাকে দেখতে পেলে আপনার বন্ধুটি কি করেন?
ক) আপনার সম্পর্কে জানতে চান, আপনার দিন কেমন গেল এই ধরনের কথা বলেন।
খ) নিজে এসেই হাই বলেন। তবে সাধারণ ও কাজ সম্পর্কিত কথা হয়।
গ) বেশিরভাগ সময়ই তাকে দেখা যায় না। দেখা গেলেও নিজে থেকে কথা বলে না।
ঘ) আপনি কথা বললে খুব আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন।

আপনাদের বন্ধুত্ব কতদিনের?
ক) অনেকদিনের। কবে প্রথম দেখেছিলাম মনে নেই।
খ) ২/৩ কয়েক বছর।
গ) ১বছর বা তার কম।
ঘ) খুব বেশিদিন হয়নি, কিন্তু খুব আন্তরিক সম্পর্ক।

আপনি কোন কারণে বিষণ্ণ থাকলে আপনার বন্ধুটি কি করেন?
ক) আপনার মন ভালো করার জন্য যা যা আপনার পছন্দ তা করেন।
খ) ফোন করে কথা বলে জানার চেষ্টা করেন কি হয়েছে।
গ) প্রথমে জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে, তারপর অন্য বিষয়ে কথা বলেন।
ঘ) খুব উচ্ছ্বসিত না হলেও আপনাকে বুঝিয়ে মন ভালো করতে চেষ্টা করেন।

সর্বশেষ কি বলে আপনার প্রশংসা করেছিলেন/আদৌ প্রশংসা করেন কি না?
ক) এই পোশাকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।
খ) ভালই তো লাগে দেখতে।
গ) তোমার রুচি ভালো।
ঘ) তোমাকে এমনিতেই ভালো লাগে।
আপনারা দিনের কতসময় একসাথে থাকেন?
ক) যতক্ষণ বাসার বাইরে থাকি প্রায় ততক্ষণই।
খ) বেশি হলে ২/৩ ঘণ্টা।
গ) দেখা হলে সাধারণ কথাবার্তা বলতে যতক্ষণ লাগে।
ঘ) রোজ সময় না পেলেও সপ্তাহে অন্তত একদিন এক সাথে ঘোরাফেরা হয়।

আপনাদের সম্পর্কে অন্যান্য বন্ধুরা কি ভাবেন?
ক) আপনাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক আছে।
খ) আপনারা খুবই ভালো বন্ধু। ভালোবাসার সম্পর্কে গেলেই পারেন।
গ) বন্ধু।
ঘ) খুব একটা মাথা ব্যথা নেই এটা নিয়ে।

যদি আপনি অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানোর কথা বলেন তখন আপনার বন্ধুটি কি করেন?
ক) আপনি যা ভালো মনে করেন এই নীতিতে আপনাকে উপদেশ দেন।
খ) আপনার ভালোবাসার সম্পর্কের ব্যাপারে সর্বাত্মক সাহায্য করেন।
গ) আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পার্টি দেয়ার কথা বলেন।
ঘ) প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চান।

ফলাফলঃ
প্রতিটি ক উত্তরের জন্য ১৫ পয়েন্ট, খ উত্তরের জন্য ১০ পয়েন্ট ও গ উত্তরের জন্য ০ পয়েন্ট ও ঘ উত্তরের জন্য ৫।

০-২০ পয়েন্টের জন্যঃ
আপনাদের মধ্যে বন্ধুতের সম্পর্কটিও ঠিক ভাবে গঠিত হয়নি। ভালোবাসার সম্পর্কের কোন প্রশ্নই আসে না।

২১-৪০ পয়েন্টের জন্যঃ
আপনারা ভালো বন্ধু। এই বন্ধুত্ব শুধুমাত্র বন্ধুতের সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর বেশি কিছু এই সম্পর্ক থেকে আশা করা ঠিক নয়। বন্ধুই থাকুন।

৪১-৬০ পয়েন্টের জন্যঃ
আপনারা বেশ ভালো বন্ধু। আপনার বন্ধুটি আপনাকে বোঝেন। তিনি আপনার সাথে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই সম্পর্ক এখনই ভালোবাসার সম্পর্কে পরিণত করার মত গভীর নয়। বন্ধুই থাকুন। যদি ভবিষ্যতে সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে সম্পর্কে জড়াতে পারেন।

৬১-৮০ পয়েন্টের জন্যঃ
আপনার বন্ধুটি আপনাকে অনেক ভালোবাসেন। আপনার সব ধরনের খেয়াল রাখেন। আপনার প্রতিটি কথার গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেন। যদি সঠিক মনে করেন তাহলে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াতে পারেন। আপনাদের সম্পর্কটি অনেক গভীর হবে। শুভকামনা রইল।
- See more at:

TAG: love, lovely, kiss, affairs, relations, FNS, fairnews, Banglanews, banglakhabor,