Monday, January 06, 2014

সুচিত্রা সেনের খোজ খবর নিলেন মমতা ব্যানার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দু’দিন আগে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহানায়িকার সঙ্গে। কিন্তু সুচিত্রা সেনের অনুমতি না পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ব্যর্থ-মনরথে ফিরতে হয়েছিল।

সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরাই মমতা ব্যানার্জিকে অনুরোধ করেছিলেন দেখা না করার জন্য। দু’দিনে সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় মমতার হাসাতালে আসার কথা শুনে সুচিত্রা সেন নিজেই মমতা ব্যানার্জিকে দেখা করার অনুরোধ জানান। ওই খবর পেয়ে রাতেই কালীঘাটের নিজের বাড়ি থেকে ছুটে গিয়েছিলেন মধ্যকলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে, একনজরে সাড়ে তিন দশকের অন্তরালে থাকা উত্তম-নায়িকার সঙ্গে দেখা করবেন বলে। প্রায় ২৫ মিনিট কথা বলেন। সুচিত্রা সেনকে দেখে মুগ্ধ অভিভূত মমতা রাতেই তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, সুচিত্রা সেনকে দেখে তিনি মুগ্ধ, ভাগ্যবাবিত মনে করছেন। মমতা জানান, ব্যান্ডেজ বাঁধা হাত বালিশের নিচে রেখে দিতে বলেছেন। এরপরই সুচিত্রা সেনও রুমের ফ্যানটা একটু কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিস্টারকে।

টেলিভিশনে, খবরের কাগজে মমতাকে দেখেছেন। তার কথা জেনেছেন। তাই তাকে দেখে সুচিত্রা সেনেরও ভাল লেগেছে বলে জানান মমতা নিজেই।

মমতা মহানায়িকাকে বলেন, রাজ্য সরকার আপনার পাশে আছে। আমরা আপনাকে সম্মানিত করতে চাই। কিভাবে করবো এবং কখন করা যাবে ওটা বলছেন। আপনার কোনও নির্দেশনা থাকলেও জানাবেন। আমরা চেষ্টা করবো সেটি পালন করার।

মমতা বলেন, আমি সত্যিই ভাগ্যবতী। এই মহানায়িকার কত ছবিও না দেখেছি আমরা। সেই নায়িকাকে আজ চোখের সামনে দেখতে পাওয়ার সুযোগ এসেছে। এর জন্য সুচিত্রা সেনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

১৯৭৮ সালে ‘প্রণয়পাশা’ ছবি মুক্তির পরই আড়ালে চলে যান মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। এরপরই ১৯৮০-তে কোনও এক নির্বাচনের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এসে কলকাতার এক চিত্র-সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্দি হয়ে যান। ওই শেষ। এরপরই আর কোন ক্যামরার লেন্স মহানায়িকার ছায়া পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি। এখনও নজর এড়িয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন সুচিত্রা সেন।

২৩ ডিসেম্বর আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন রমা সেন ওরফে সুচিত্রা। প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। কখনো ভাল আবার কখনো খারাপ। এরই মধ্যে চোখেও ছানি পড়েছে ওই নায়িকার।

Tag: Suchitra Sen, Indian Actress, Kalkata, kokata,
First published: fairnews24.com 

Saturday, January 04, 2014

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার এবং নারী নির্যাতন


Sexual Health..
প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে সেই স্বাস্থ্যকে বুঝায় যার মাধ্যমে মানুষ তথা নারী-পুরুষ উভয়েই স্স্থু ও নিরাপদভাবে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, স্স্থুভাবে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা রাখে ও তা কখন ও কিভাবে করবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জণ করে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার হলো নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত যেকোন প্রসঙ্গে নিজস্ব সম্মতি ও নির্বাচনের অধিকার। অর্থাৎ,গর্ভধারণ,পরিবার পরিকল্পনা ও পদ্ধতি নির্বাচন,স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গে উভয়ের মতামত,আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার রয়েছে। কিন্তু,বাংলাদেশের নারীরা কি আদৌ এ বিষয়ে কথা বলার অধিকার রাখেন? না রাখেন না। আর না রাখার ফলে যা সাধারণত ঘটে তাকেই আমরা একভাবে নির্যাতন বলে চিহ্নিত করতে পারি।

১.

একজন এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষকে ও তার স্ত্রীকে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিষেধ করে দিয়েছে কোন ধরনের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে।স্ত্রীকে ভালভাবে তারা বুঝিয়েও গিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল স্ত্রীও এইচআইভি‘তে আক্রান্ত হলেন।আমি যখন তাঁর সাথে কথা বলতে গেলাম,তিনি জানালেন,‘‘আফনেরে লজ্জার কথা কি কমু!আমারে তো ডাক্তার আফারা মানা কইরা গেছিলো,কিন্তু হ্যায় তো আমার কথা মানেনা।হ্যায় কইছে,চুপ কইরা থাক।তুই আমার বউ আমার কথা মানবি।মাইনষের কথা এত ধরছস ক্যান?’’ এই ব্যক্তি হাজার কনসাল্টেন্সির পরেও কনডম ব্যবহারও করেনি।ফলে উনি মারা গেছেন আর ভাইরাসটি নিষ্ঠার সাথে দিয়ে গিয়েছেন তার স্ত্রীকে যাকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুই সন্তানের দেখাশুনা করতে হয়।গ্রামের সবাই এই মহিলাকে ‘খারাপ মেয়েছেলে’ মনে করে। কারণ তারা জানে যে স্বামী ছাড়া অন্য কারও সাথে শুলেই বা অনেক পুরুষের সাথে শুলেই এই ‘রোগ’ হয়। নানা অপবাদ আর হেনস্তার মাঝে তার জীবন কাটছে।

২.

একজন ১৬ বছর বয়সী নারী গার্মেন্টস কর্মী;বিয়ের পরই স্বামী কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে যান। স্ত্রী যতবারই বলেছে কনডম ব্যবহার করতে ততবারই তার স্বামী অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে এবং মারধোর করেছে। মারধোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় অনেক সময় স্ত্রী অজ্ঞান হয়েও যেতো। তারপর যখন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হলো তখন তাকে সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বললো। ডাক্তার জানালেন এত অল্প বয়সে সন্তানধারণ করা যেমন বিপদজনক;তেমনি গর্ভনষ্ট করাও বিপদজনক। আর প্রথম সন্তানের  ক্ষেত্রে তো আরও বিপদজনক। হিতে বিপরীত হলো। স্বামী ডাক্তারের সম্মতি না পেয়ে কিছু বুদ্ধিদাতার যারা ওষুধ ও শেকড় দিয়ে গর্ভপাতের পরামর্শ দিলো। স্ত্রীর ওপর জোরজবরদস্তি শুরু হলো। তারপরেও স্ত্রীর গর্ভ যখন নষ্ট হলো না তখন স্বামী স্ত্রীর সম্মতি ছাড়াই বারবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। অপুষ্ট শিশুর জন্ম হলো এবং স্ত্রীর স্বাস্থ্য (মানসিক ও শারীরিক) ক্রমশই ভেঙে যেতে লাগলো। স্ত্রীকে পিল খেতে বলল স্বামী;কিন্তু পিল খেয়ে তার শরীর আরও দুর্বল হতে থাকলো। বাঁধ্য হয়ে যখন পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলো তখন সে আবার সন্তানসম্ভবা হলো।

৩.

ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর ডাক্তার স্ত্রী। বিয়ের পর যতবারই স্ত্রী চেয়েছে ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা অন্যান্য বিষয়ে মতামত দিতে ততবারই শুনতে হয়েছে..‘এসব নিয়ে তুমি তোমার রোগীদের বলো। আমাদের মধ্যে এত কথার কি আছে;আমি যখন মনে করবো সন্তান নেয়ার সময় হয়েছে তখন তো তোমাকে বলবোই।’স্ত্রী যখন জানিয়েছেন যে পিল ব্যবহারে তার শারীরিক কিছু সমস্যা হচ্ছে,তখনও স্বামী কনডম ব্যবহারে অস্বীকৃতী জানায়।

৪.

মহিলাদের ‘কাঠি,কপার-টি’ ইত্যাদি নানা ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করানো হচ্ছে। প্রতিটিই পদ্ধতি হিসেবে অত্যন্ত ভয়াবহ;কিন্তু ব্যবহারকারী সব মহিলার একই কথা,স্বামীরা জোর করে নিয়ে এসেছে। অনেকে আবার লুকিয়ে এসে খুলেও গিয়েছে ব্যথা লাগে বলে;কিন্তু আবার তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই পরতে হয়েছে।

এরকম হাজারও ঘটনা ঘটছে আমাদের খুব কাছেই। না, এটি শুধু ‘নিরক্ষর’ মানুষের বেলাতেই ঘটছে না;বরং সকল শ্রেণীতেই ঘটছে। কারণ পুরুষের পরিচয়  শুধু পুরুষই। আর নারীর পরিচয় হয়ে উঠেছে ‘অধস্তন’। পাবলিক-প্রাইভেট সব পরিসরেই যত শিক্ষিত,স্ব স্ব ক্ষেত্রে যতই ক্ষমতাশালী হয়ে থাকুক না কেন তাদের কন্ঠস্বর খুব কম ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করতে পারে বা প্রতিরোধ করে সফল হতে পারে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা,সম্মতি,মতামত এসবই সমানভাবে গুরুত্বের দাবি রাখে। আর গুরুত্ব না দিয়ে নারীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় প্রতি মুহুর্তে;সেই সাথে থাকে অবহেলা আর তুচ্ছ করার প্রবণতা যা আমাদের সামাজিক কাঠামোরই প্রতিচ্ছবি মাত্র। এই অবহেলায় বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর ও শিশু মৃত্যুর হার, বাড়ছে গর্ভপাতের হার।একজন নারী যার দেহে জন্ম নিবে সন্তান তার সিদ্ধান্ত নেবার কোন অধিকারই নেই যে কখন,কোথায়,কিভাবে জন্ম হবে শিশুটির বা কোন পদ্ধতি তিনি আদৌ ব্যবহার করতে চান কি চান না,সঙ্গমে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাৃ.!!! নারী দেহটি যেন প্রকৃত অর্থেই পুনরুৎপাদনের একটি যন্ত্র বিশেষ! যন্ত্রটিতে প্রয়োজনমত শুধু প্রোগ্রাম করে নেওয়া,কি প্রোগ্রাম হবে তা শুধুই নির্ভর করবে প্রোগ্রামকর্তার ওপরে!! বিয়ের বৈধতাই যেন ওখানে,স্ত্রী দেহের ওপর একান্ত আধিপত্য।অথচ সম্পর্খটি যে আদৌ আধিপত্যের নয়,ভালবাসা আর বিশ্বাসের,তা বোঁধকরি এ্খানে অতি নগণ্য। স্ত্রীর অনিচ্ছায় জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া যে ধর্ষণেরই আরেক নাম তা বোঁধকরি অনেকেই মানেন না।ঠিক তেমনি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে  নারীর অবদমিত ও অধস্তন  অবস্থান যে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ তাও বোঁধকরি সকল মহলেই সমানভাবে অগ্রহণযোগ্য।

সাম্প্রতিককালে অনেক নামজাদা প্রতিষ্ঠান ও ‘সুশীল’ সমাজের তুখর নেতৃবৃন্দ নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে অত্যন্ত সোচ্চার। নারীকে তার অধিকার সম্বন্ধে জানাতে হবে,ফলে তারা  প্রতিরোধ করতে পারবে। অথচ সামাজিক চর্চা,অভ্যস্ততা সর্বপরি আমাদের সামাজিক কাঠামো ও মানসিকতার পরিবর্তন সর্বপ্রথম অনিবার্য। হাজার হাজার অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সভা, কর্মশালা,গবেষণা করে নারীকে জানিয়ে কি আদৌ কোন লাভ আছে যখন নারী বেশিরভাগ সময়েই প্রতিরোধ করার পরিস্থিতিতে থাকে না?নারী-পুরুষ উভয়েই জানলো অথচ তাদের চর্চা সেই আগের জায়গাতেই রয়ে গেল;কার কি হবে?তাই সবার আগে আমাদের সবাইকে একে অন্যকে সম্মান দিতে শিখতে হবে,তা নারীই হোক আর পুরুষ।যেকোন সম্পর্ককেই যদি সম্মান দেয়া না যায়,তবে নির্যাতন আদৌ বন্ধ হওয়ার নয়। তাই শুধু যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে জানলেই হবে না;এই অধিকার বাস্তবায়নের উপযুক্ত পরিস্থিতি আমাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে।অন্য কেউ করবে না ভেবে প্রত্যেকেই নিজ নিজ ঘর থেকেই,নিজেদের চেনাজানা গন্ডিতে এই চর্চা শুরু করি;তবেই একদিন সব ঘরেই সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলা ও নির্যাতন বন্ধ করা হয়তো সম্ভব হবে।

First Published Fairnews24.com, Health News

চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান নোভিয়া

Bangladeshi Model Nova
 মিডিয়ায় র‌্যাম্প মডেল হিসেবে শোবিজে কাজ শুরু করেন রুমাই নোভিয়া। এরপর গত বছরের শেষদিকে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিতে একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেন। রসিক আমার শিরোনামের এ গানটিতে তার পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়ে অনেক নির্মাতারা তাকে নতুন বেশকিছু ছবির আইটেম গানে কাজের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আর কোন আইটেম গানে কাজ করতে চান না তিনি। হতে চান চলচ্চিত্রের একজন সুঅভিনেত্রী।

এ বিষয়ে তিনি বললেন, আমি ঢাকায় লালমাটিয়া কলেজে মার্কেটিং-এ বর্তমানে অনার্সে পড়াশোনা করছি। পাশাপাশি মিডিয়ায় কাজ করছি। অনেকটা শখের বসেই র‌্যাম্প মডেলিং শুরু করি। এরপর রবি, জিপি, প্রাণজুসসহ বেশকিছু বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়। এরপর চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু। তবে আমি বর্তমানে শুধু আইটেম গান না, ভালো গল্পের ছবিতে অভিনয় করতে চাই।

রুমাই এর ছোটবেলাটা কেটেছে চট্টগামে। সেখানে সঙ্গীতা একাডেমিতে ছোটবেলা থেকে গান শেখার পাশাপাশি দীর্ঘদিন সাধারণ, লোক, উচ্চাঙ্গ ও ওয়েস্টান নাচের চর্চা করেন। তাই সবদিক দিয়েই নিজেকে চলচ্চিত্রের জন্য ফিট মনে করেন তিনি। বাবা হরিলাল বাহাদূর ও মা রিতা বাহাদূর এর বড় মেয়ে রুমাই। পরিবারের আদর পেয়েই বড় হয়েছেন। ছোট ভাই অজয় বাহাদূর পড়ালেখা করছে। ঢাকায় খালার বাসায় থেকে পড়ালেখা করা এই মেয়েটির স্বপ্ন একদিন আমাদের দেশের একজন সুঅভিনেত্রী হওয়া।

ইতোমধ্যে রাকিব মুসাব্বির ও ফারাবীর কণ্ঠে সাত পাকের জীবন শিরোনামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও এর মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি। সবেশেষে বললেন, আমি ভালো বাজেট ও গল্পের ছবিতে কাজ করতে চাই। অভিনয়ের প্রতি আমার বেশি দুর্বলতা। শুধু শুধু আইটেম গানে নাচতে চাই না।
first published, Nova, prova, model Prova

পৃথিবীতে অদ্ভুত ৫টি পেশা


Profession, life style
একজন মানুষ জীবনে কী পেশা বেছে নেবে তা নিয়ে দেখে অনেক অনেক স্বপ্ন। ছোট্টবেলা থেকেই বাবা মায়েরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য তাদের উৎসাহ দিতে থাকে। অনেকে স্বপ্ন দেখে শিল্পী-সাহিত্যিক হবার, অনেকে আবার একটু রোমাঞ্চকর পেশায় যাবার চিন্তা করে থাকে। বড় হয়ে উঠতে উঠতে এসব স্বপ্ন বার বার ভাঙে- গড়ে, শেষ পর্যন্ত হয়তো ঠিক যে পেশায় যাবার ইচ্ছে ছিলো তাতে যাওয়াও হয়ে ওঠে না, সাধারণ কোনো পেশা মেনে নিতে হয়। কিন্তু পৃথিবীতে রয়েছে একেবারেই উদ্ভট এমন কিছু পেশা যাতে নিয়োজিত হবার স্বপ্ন কেউ ভুলেও দেখবে না। আপনি নিজেই ভাবুন তো, মানুষের ডাক্তার না হয়ে ঘোড়ার দাঁতের হতে কেমন লাগবে আপনার? দেখে নিন এমনি কিছু অদ্ভুত পেশার ছবি। উদ্ভট লাগছে শুনে?কিছু মানুষের জীবিকাই কিন্তু এগুলো!



দুর্গন্ধ বিশারদ
গরমে অথবা দুশ্চিন্তায় ঘেমে আপনার হাতের নিচ থেকে আসছে দুর্গন্ধ। এই দুর্গন্ধ কতটা তীব্র? বিশেষ কোন ব্র্যান্ডের সুগন্ধি ব্যবহার করলে এই দুর্গন্ধ কতটা কমে? সেটা নিয়েই কাজ হলো এই দুর্গন্ধ বিশারদ অথবা “ওডোর জাজ” দের। বিভিন্ন পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট কোম্পানিতে রয়েছে এদের কদর। মানুষের হাতের নিচে গন্ধ শুঁকেই তারা জীবিকা অর্জন করেন।


পুরুষের অন্তর্বাস ডিজাইনার
পোশাক তৈরি করতে মাঝে মাঝেই দর্জিবাড়ি যেতে হয় আমাদের। তখন আমাদের হাত, পা, কোমর ইত্যাদি অঞ্চলের মাপ নিয়ে তা টুকে রাখেন দর্জি মহাশয়। কিন্তু সাধারণ পোশাক না হয়ে যদি সেই পোশাক হয় অন্তর্বাস? ভাবুন সে সব মানুষের কথা, যারা পুরুষের শরীরে অন্তর্বাস পরিয়ে তা ডিজাইন করতে ব্যস্ত থাকেন। এমন ডিজাইনার হবার শখ আছে কি?


ঘোড়ার ডেন্টিস্ট
হ্যাঁ, আসলেই ঘোড়ার দাঁতের ডাক্তার রয়েছে। “ইকুইন ডেন্টিস্ট” বলা হয় এদেরকে। দাঁত দেখে ঘোড়ার বয়স নির্ণয় করা থেকে শুরু করে দাঁতের কোন রকমের রোগ সারিয়ে তোলা পর্যন্ত এদের কাজ।


মাছ গণনা
একটা বড় অ্যাকুরিয়ামে কয়টা মাছ আছে? এটা বসে বসে গণনা করার সময় আপনাদের কারও কি আছে? নেই। এই কাজটি করার দায়িত্ব তাই পড়ে পেশাদার মাছ গণকের ওপরে।


ডায়নোসোরের ঝাড়ুদার
ডায়নোসর অর্থাৎ বিভিন্ন মিউজিয়ামে যেসব ডায়নোসরের জীবাশ্ম রাখা আছে, সেগুলো অবশ্যই অনেক অনেক পুরনো। কিন্তু তাই বলে এগুলোর ওপরে ধুলো পড়ে থাকতে দেখলে কি ভালো লাগবে আপনার? ডায়নোসর ঝাড়ুদারের কাজ হলো নিয়মিত ধুলো ঝেড়ে এসব জীবাশ্ম সাফসুতরো রাখা।

Profession, occupation,

যেসব পুরুষকে ছাড়বেন নারীরা!


lifestyle, men women
প্রেমিককে কাছে রাখতে নিজের সব কিছু সপে দেন মেয়েরা। কিন্তু যে শান্তির জন্য এসব কিছু-সে শান্তি কারও ক্ষেত্রে থাকে অধরা।
প্রেমিক হিসেবে বাং ডেটিংয়ে পুরুষ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের হতে হবে সতর্ক, না হলে পস্তাতে হবে। এ পুরুষ বাছাই প্রক্রিয়া খুবই সহজ। চোখ-কান খোলা রাখলেই দেখা মিলবে সে পুরুষের। বন্ধু ‍বা চিরসঙ্গী হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়ার আগে নারীদের পুরুষের কিছু বৈশিষ্ট্যে চোখ রাখতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-


একই আচরণ
নতুন কিছু করতে অনিচ্ছুক পুরুষের সঙ্গে ডেটিং করার মানে বিরক্তিকর ও একপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে যাওয়া। তার চোখ খুলবে, অবশেষে আচরণে পরিবর্তন আসবে, তারপর আপনার সখ পূরণ করবে-এমন আশা না করাই ভালো। একগুয়ে আচরণকারীরা দিনকে দিনকে আরও একগুয়ে হয়ে উঠেন। এদের সঙ্গ ত্যাগ করাই উচিত।

খেলাধুলা পাগল
অনেক খেলুরে পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চান কিন্তু সম্পর্কের চেয়ে কেউ খেলার প্রতি মনোযোগ দিলে তার সঙ্গ ত্যাগ করাই উচিত।

প্রতি বেলায় রান্না খাবার
ঘরে রান্না করে খাওয়া ভালো। কিন্তু যেসব পুরুষ প্রতি বেলায় আপনার হাতের রান্না খাবার চিন্তা করবেন তাদের এড়িয়ে চলাই ভালো। তা না হলে আপনাকে হতে হবে তার দাসী।

বিল দেওয়ায় ভাগাভাগি
সম্পর্ক তেমনভাবে গড়ে উঠেনি। এক সঙ্গে খাওয়ার বিল বা রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর ভ‍াড়া যদি আপনাকে দিতে হয় তাহলে ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না গড়াটা ভাল। সম্পর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে ভাড়া দেওয়া বা বিল দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, ভবিষ্যতে আপনাকে আরও দিতে হবে। তবে সম্পর্ক গাঢ় থাকলে বিষয়টি আলাদা।

খুবই কড়া
দিনের প্রতি মুহূর্তে জবাবদিহি করতে হয়-এমন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে আগাম ইতি টানাই ভালো। না হলে জীবন আপনার ফানা হয়ে যাবে।

দ্বিধান্বিত
আজকে এক কথা, কালকে এক কথা, পরশু আরেক কথা। স্থির কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থদের ঘাড়ে চাপিয়ে শুধু বোঝাই বাড়বে আপনার। তাই যতো দ্রুত ঝেড়ে ফেলা যায় ততই মঙ্গল।

TAG: male, female, lifestyle, life, day life,  men, women, girls, boys,