Wednesday, January 08, 2014

মাদকের আরেক নাম সিসা


Sisa-drug
তরুন তরুনীরা এতটাই অসচেতন যে সিসা টানার ছবি এখন নিজেদের ফেসবুক পেইজে ব্যবহার করছে।

এক টেবিলে গোল হয়ে বসা ৪-৫ তরুণ-তরুণী। সবাই অভিজাত পরিবারের সন্তান। গাঢ় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আলো-আঁধারি পরিবেশ। গুড় গুড় করে আসছে শব্দ। সবার হাতেই একটি করে পাইপ। কখনও একই পাইপ এক হাত থেকে যাচ্ছে আরেক হাতে। রাজধানীর অধিকাংশ নামিদামি রেস্টুরেন্টে এমন চিত্র  হরহামেশাই দেখা যায়। এর নাম সিসা লাউঞ্জ। আর এই সিসায় ঝুঁকছে অভিজাত পরিবারের তরুণ-তরুণীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক সেশনে সিসা টানলে ৫৪টি সিগারেটের সমান ক্ষতি হয়। এছাড়া সিসার ধোঁয়ায় প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোঅক্সাইড থাকে, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মাদক ও নেশা নিরোধ সংস্থা-মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, সিসা সিগারেটের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এছাড়া সিসায় ফলের নির্যাসের সঙ্গে অন্যান্য ক্ষতিকর মাদকদ্রব্যের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। অন্য মাদকে যে ক্যান্সার ছড়াতে পাঁচ বছর লাগবে সেখানে নিয়মিত সিসায় আসক্ত হলে দুই বছরের মধ্যে শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়তে পারে।


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উচ্চবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের নতুন নেশার নাম সিসা। নতুন মাদক হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে সিসার। অনেকটা দেশীয় হুক্কার আদলে তৈরি সিসার প্রচলন মোগল আমল থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সিসা অনেক জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফলের নির্যাস দিয়ে তৈরি হয় সিসার উপাদান। কিন্তু বাংলাদেশে এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য তৈরির উপাদান। মাদক হিসেবে তালিকাভুক্তি না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
 

No comments:

Post a Comment