Sunday, December 22, 2013

দেখে নিন দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলার ১০টি কৌশল!

lifestyle photo

দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময়েই ছোটোখাটো কিছু কাজ করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। খুব সাধারণ একটা কাজ করতে গিয়েও এত ঝামেলায় পড়তে হয় যে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়। এসব কাজ করার শর্টকাট কোনও পদ্ধতি থাকলে কতোই ভালো হতো, তাই না? দেখে নিন এমন কয়েকটি কৌশল, যা ব্যবহারে আপনার দৈনন্দিন জীবনের টুকিটাকি কাজগুলো হয়ে উঠবে একেবারেই ঝামেলাবিহীন।

১) রান্নায় টমেটো ব্যবহারঃ
টমেটো কিংবা যে কোনো টক জাতীয় দ্রব্য যদি আপনি রান্নার শুরুতেই দিয়ে দেন, তাহলে দেখবেন যে অন্য খাবারগুলো ঠিক মত সিদ্ধ হবে না কিংবা অনেকটা সময় বেশি নিবে। কেননা এরা বাঁধা দেয় খাবার দ্রুত সিদ্ধ হতে। টমেটোও তাই। নিজে গলে যায়, কিন্তু বাঁধা প্রদান করে পিয়াজ, সবজি ইত্যাদি সিদ্ধ হতে। আর তাই খাবারে তখনই টমেটো দিন, যখন বুঝবেন যে অন্যান্য উপাদান সিদ্ধ হয়ে গেছে।


২) ফেলনা চাপাতার ব্যবহারঃ
চা কেবল পানীয় হিসেবে নয়, হতে পারে আপনার রূপচর্চার উপাদান। কড়া চায়ের লিকার চুলের জন্য খুব ভালো কন্ডিশনার। চোখের কোলের কালি দূর করতে ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখে রেখে শুয়ে থাকুন ২০ মিনিট। এটা নিয়মিত করুন, ভালো উপকার পাবেন। আর ব্যবহারের পর চায়ের পাতাগুলো ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় দিয়ে রাখুন। খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করবে।

৩) করল্লার তেতোভাব দূর করাঃ
খুব স্বাস্থ্যকর সবজি করল্লা অনেকেই খেতে চান না এর তেতো স্বাদের জন্য। করল্লার তেতো ভাব দূর করার জন্য টুকরো করা করল্লা ভিজিয়ে রাখুন হাল্কা উষ্ণ পানি ও বেশ খানিকটা লবণ দিয়ে। তারপর ভালো করে কচলে ধুয়ে নিন। দেখবেন ফেনা ফেনা উঠছে। এমন কয়েকবার করুন, যখন ফেনা উঠবে না বুঝবেন তেতো ভাবটাও কমে গেছে। এবার আর কি, রেঁধে নিন পছন্দমতন উপায়ে।

৪) কমলার/মাল্টার ব্যবহারঃ
অনেক সময়েই দেখা যায় বাড়িতে রয়ে গেছে বেশ অনেকগুলো কমলা, মালটা ইত্যাদি ফল। অসুখ-বিশুখে দেখতে এলে, কিংবা সাধারণভাবেই মেহমান বেড়াতে এলে এসব ফল এনে থাকেন। ঘরে কমলা বা মালটা বেশি জমে গেলে কি করেন? হয়তো জোর করে খেয়ে নেয়া হয়, কিংবা রান্নায় ব্যবহার করেন। আরেকটি কাজ করতে পারেন। এগুলো ভালো করে রস করে নিন। ছাকনি দিয়ে সুন্দর করে ছেঁকে নিন, কোনো পানি দিবেন না। এবার বরফ জমাবার ট্রে-তে দিয়ে জমিয়ে ফেলুন কমলার রসের বরফ। ভাবছেন কি করবেন এগুলো দিয়ে? জুস থেকে শুরু করে নানান রকম শরবত ও পানীয়, যে কোনো প্রকার কাজেই ব্যবহার করতে পারবেন। বেকিং সহ নানা প্রকার রান্নাতেও ব্যবহার করা যাবে।
lifestyle photo, Tea


৫) আপেলের কালচে ভাব রোধ করাঃ
আপেল এমন একটি ফল, যা কিনা কাটার পর বেশিক্ষণ রাখা যায় না। সহজেই কালচে হয়ে যায় কিছু মিনিটের ব্যবধানে। এর জন্য রয়েছে সহজ একটি কৌশল। পাতলা করে চিনির সিরা তৈরি করুন, সাথে মিশিয়ে দিন খানিকটা লেবুর রস। এবার কাটা আপেলের টুকরোগুলো ভিজিয়ে রাখুন এই মিশ্রণে। চাইলে রেখে দিতেন পারেন ফ্রিজে। আপেল কালচে হবে না এতে, যখন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবেন। মিশ্রণ থেকে আপেল তুলে নেয়ার পরেও অনেকটা সময় কালচে হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।


৬) চটজলদি পেঁয়াজ বাটাঃ
ব্লেন্ডারে অল্প মসলা পেষা যায় না। আবার একটুখানি পিঁয়াজ বাটা লাগবে বলে শিল পাটা নিয়ে বসবেন? তাছাড়া ব্যাচেলরদের ঘরে তো শিল পাটা থাকেও না। তাহলে, কি উপায়? আছে ৫ মিনিটের সহজ সমাধান! আজকাল গ্রেটার সবার বাসাতেই থাকে। পিঁয়াজ ছিলে নিন, এবং সেই গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিন। এবার দেখুন তো, কি চমৎকার পিঁয়াজ বাটা তৈরি! গ্রেট করা পিঁয়াজ এত মিহি হবে যে পার্থক্য ধরতেই পারবেন না।

৭) খুশকি দূর করাঃ
মাথার খুশকি অনেকেরই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু এর জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করতে চান না অনেকেই। প্রাকৃতীক উপায়ে খুশকি দূর করতে পারেন। এর জন্য কাজে আসবে পিঁয়াজ। পিঁয়াজ বেটে নিন, তারপর রসটা ছেঁকে নিন। এই রস মাথার তালুতে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। প্রথম ধোয়াতেই খুশকি দূর হয়ে যাবে অনেকটাই। নিয়মিত কয়েকবার ব্যবহার করলে একদম চলে যাবে। যাদের খুশকির কারণে মাথায়া ঘা হয়ে গিয়েছে, তারা ব্যবহার করবেন না। জ্বলতে পারে।

৮) পরিষ্কার রাখুন চপিং বোর্ডঃ
যারা চপিং বোর্ডে কাটাকুটির কাজ করেন, তাঁরা ভালো করেই জানেন যে কিছুদিন ব্যবহারের পরেই বিচ্ছিরি কালো দাগ পড়ে যায়। আবার মাছ, মাংস, রসুন ইত্যাদি কাটা হলে বাজে গন্ধ সহসা দূর হতে চায় না। এই সমস্যা থাকে মুক্তি পেতে আছে সহজ একটা সমাধান।বাজে গন্ধ দূর করার জন্য কাপড় বা টিস্যুতে ভিনেগার নিয়ে চপিং বোর্ড ভালো করে মুছে নিন। আর কালো দাগ দূর করার জন্য চপিং বোর্ডে ভিনেগার ছড়িয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর সাবান পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। একদন ঝকঝকে হয়ে যাবে।


৯) দুধকে রাখুন ফ্রেশঃ
বাইরে রাখুন বা ফ্রিজে, দুধ জ্বাল দেবার সময় ছোট্ট একটা উপায় অনলম্বন করলে দুধ থাকবে বেশ কিছুদিন "ফ্রেশ"।
কেবল এক চিমটি লবণ দিয় দিন জ্বাল দেয়ার সময়ে বা প্যাকেটের জ্বাল দেয়া দুধ হলে প্যাকেট খোলার পরেই। এতে আপনার দাম দিয়ে কেনা দুধ বেশ অনেকটা সময় থাকবে তাজা ও স্বাদ থাকবে অক্ষুণ্ণ। লবণের স্বাদ ধরতেই পারবেন না!

১০) পেঁয়াজ কাটার সময় থাকুন ঝাঁঝ থেকে মুক্তঃ
পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখ জ্বলে খুব। কেঁদে-কেটে অস্থির হয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা? আছে খুব সহজ একটা উপায়। আজ থেকে আর পেঁয়াজ কেটে জ্বলবে না চোখ। পেঁয়াজ কাটার সময় মূলের কাছে অংশটা একটু গভীর করে কেটে ফেলে দিন। তারপর ছিলে নিয়ে ভিজিয়ে রাখুন অনেকটা পানিতে। ১৫/ ২০ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কাটুন। এবার আর পেঁয়অজ কেটে কান্না পাবে না মোটেই!
- See more @ Fairnews24.com

No comments:

Post a Comment